আল্লাহ তায়লা অবাধ্য
মানব – দানবের জন্য জাহান্নামকে সৃষ্টি করেছেন। জাহান্নাম পূর্ণ করা হবে তাদের
দিয়েই । তাই আল্লাহ তায়ালা এরশাদ ফরমান-
অর্থাৎ” “আমি
অসংখ্যা মানব দানব জাহান্নামে থাকার জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্ত এমন যে, তারা
সত্য উপলব্ধি করেনা। তাদের চোখ এমন যে, তারা চোখ থাকতেও দেখে না। তাদের কান আছে
কিন্ত তারা শোনেনা , তারা চতুস্পদ জন্তর ন্যায় – তারা পথভ্রষ্ট।”(আরাফ-১৭৯)
অন্যত্র আল্লাহ
তায়ালা এরশাদ ফরমান-
অর্থাৎ’ আর
আপনা প্রভুর সে কথা পূর্ণ যে, আমি জাহান্নামকে জিন ও মানুষ দ্বারা পূর্ণ
করব।(হুদ-১১৯)
অর্থাৎ’ আমার এ
উক্তি াবধারিত সত্য যে, আমি জিন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নামকে পূর্ণ
করব।(সেজদা-১৩)
অর্থাৎ’ “যেদিন
আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন , হে জ্বিন সম্প্রদায় তোমরা মানুষদের মধ্যে অনেককে
অনুগামী করেছ। তাদের মানব বন্ধুরা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা আমরা পরস্পর পরস্পরের
মাধ্যমে ফল, লাব করেছি। আপনি আমাদের জন্য যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন , আমরা তাতে
উপনীত হয়েছি। আল্লাহ পাক বলবেন আগুন হল তোমাদের বাসস্থান সেখানে তোমরা চিরকাল
অবস্থান করবে।”(আনআম -১২৮)
অর্থাৎ’ “আর
আমাদের অনেকেই মুসরমান হয়ে গেছে আর অনেকেই পূর্ব অবস্থানেই রয়ে গেছে। সুতরাং যে
ইসলাম গ্রহণ করল সে কল্যাণের রাস্তায় চলে এলো আর যে বিপথ আকড়ে আছে সে হবে
জাহান্নামের ইন্ধন।” (জ্বিন – ১৪-১৫)
অর্থাৎ’
“তোমাদের প্রতি ছাড়া হবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুণ্ড তখন তোমরা সে সব প্রতিহত
করতে পারবেনা। অতপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে,
যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে। অতপর তোমরা
উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? সেদিন মানুষ না তার অপরাধ
সম্পরর্ক জিজ্ঞাসিত হবে না জিন, অতএব তোমারা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন
অবদানকে অস্বীকার করবে? অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে অতঃপর তাদের
কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।” (আর রহমাস ৩৫-৪১)